কৃষিসংবাদ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের পূণর্মিলনী অনুষ্ঠিত

শেকৃবি প্রতিনিধিঃ

আনন্দ আর উল্লাসসের মধ্য দিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশনের “বার্ষিক সাধারন সভা ও পূণর্মিলনী ” অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটরিয়ামে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, আড্ডা, ভাব-বিনিময় ও কোলাহলে মেতে ওঠেন প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা। দেশ গড়ার কাজে নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তারা। এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মো. শাদাত উল্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেআইবির সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি। প্রিয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন এলমনাই এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কৃষিবিদ এ এম.এম. সালেহ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আত্মমর্যাদাশীল কৃষিবিদরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে দেশের বর্ধিষ্ণু জনগোষ্ঠীর খাদ্য যোগানে নিয়োজিত রয়েছেন। কৃষিবিদদের চিন্তাচেতনা, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, আধুনিক প্রযুক্তিগত ধারণা ও প্রগতিশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর ভাগ্যের পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধুর ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ উপহার দিতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নতুন প্রজন্মকে কৃষিতে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর। দেশের কৃষি উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাজুয়েটগণ যে উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখেছেন এবং আজও রেখে যাচ্ছেন, আজকের দিনে তা খতিয়ে দেখা দরকার। কৃষি উন্নয়নের এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে অগ্রণী নেতৃত্বে ভূমিকা রাখেননি এখানকার পাশ করা কৃষিবিদগণ। কৃষিবিজ্ঞানী তথা কৃষিবিদদের উদ্ভাবিত নতুন নতুন প্রযুক্তি ও অধিক উৎপাদনশীল জাতের বীজ ব্যবহার করে কৃষক তার মেধা ও শ্রম দিয়ে আজ ষোল কোটিরও বেশি মানুষের খাদ্যের জোগান নিশ্চিত করণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করেছে কৃষি পেশাকে। কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, কোনো কিছুই প্রাক্তন নয়। তাই তিনিও প্রাক্তন হননি। বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়ার এখনো অনেক কিছু বাকি রয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়নে সবাইকে কাজ করার আহবান জানান তিনি। প্রায় ২ হাজার অ্যালামনাইর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ ছাড়াও আড্ডা, বেশ কয়েক পর্বের নাস্তা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। বিকালের নাস্তার এবং রাতের খাবারে জন্য অ্যালামনাইদের দাঁড়াতে হয়েছে দীর্ঘ লাইনে। কিন্তু তারপরও কার কাছে কোন বিরক্তিবোধ ছিল না। এ যেন এক প্রাণের মেলা ছিল শেকৃবির কৃষিবিদদের জন্য।

Exit mobile version