কৃষিগবেষণা ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিশ্বব্যাপী জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উপর জোর দিতে হবে-কৃষিমন্ত্রী

এসডিজি অর্জনে কৃষি

কৃষিগবেষণা সংশ্লিষ্ট জ্ঞান

কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ

            কৃষিগবেষণা সংশ্লিষ্ট জ্ঞান ঃ কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই কৃষিগবেষণা ও উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিশ্বব্যাপী জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের উপর জোর দিতে হবে। একই সাথে টেকসই কৃষি উন্নয়নের জন্য জলবায়ু স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির বিকাশে এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে।

মন্ত্রী শুক্রবার বিকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে আয়োজিত টেকনিক্যাল সেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বিগত এক দশকে কৃষিক্ষেত্রে ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশ দানাদার খাদ্যে আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষি উন্নয়নের এই সাফল্য সারা পৃথিবীতে বহুলভাবে প্রসংশিত ও নন্দিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, করোনা, আম্পান ও দীর্ঘমেয়াদি বন্যা মোকাবিলা করে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে। দুর্যোগের মাঝেও দুর্যোগের মাঝেও এ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের (চাল, গম ও ভুট্টা) উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪ কোটি ৫৩ লক্ষ্য মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে।

 কৃষিসচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম বলেন, কৃষিক্ষেত্রের যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

সাবেক কৃষিসচিব মো: নাসিরুজ্জামান বলেন, খাদ্য উৎপাদনে আমরা সক্ষমতা দেখিয়েছি। করোনাকালেও দেশে খাদ্য উৎপাদনে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়ে নি। কিন্তু কৃষিপণ্যের বাজার ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। কৃষক বা কৃষিপণ্য উৎপাদনকারীদের হাতে বাজারের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে তাহলে কৃষক যেমন উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে তেমনি ভোক্তাগণও ন্যায্যমূল্যে পণ্য  কিনতে পারবে।

 ‘এশিয়ান খাদ্য সিস্টেমে কোভিড-১৯ এর প্রভাব এবং কৃষির রূপান্তর’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফএও’র সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ড. ডেভিড ডো। করোনাকালে এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপির প্রবৃদ্ধির তুলনামূলক চিত্রে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত প্রজেকশন অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়, ইস্ট এশিয়া ও সাউথইস্ট এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে (৫%) বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। যেখানে ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী। করোনাকালে বিশ্ব খাদ্য মার্কেটে খাদ্যের সরবরাহ ভাল ছিল বলেও তিনি তুলে ধরেন। এছাড়া, আশা করা হচ্ছে চাল, গমসহ সিরিয়াল বা খাদ্যশস্যের সর্বকালের রেকর্ড উৎপাদন হবে এবছর। অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যের দাম এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে বলেও প্রবন্ধে বলা হয়। করোনাকালেও বাংলাদেশে খাদ্যের দাম এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে যেখানে পাকিস্থানে ৬%, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে খাদ্যের দাম ৩-৪%  বেড়েছে।

কৃষিসচিব মো: মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাবেক কৃষিসচিব মো: নাসিরুজ্জামান, খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার মন্ডল, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ম্যাথিউ মোরেল, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিম্পসন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি প্রতিনিধি রিচার্ড রাগান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো: বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহবপরচিালক ড. মো: আব্দুল মুঈদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Advisory Editor

Advisory Editor of http://www.krishisongbad.com/

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *