কৃষিসংবাদ

জেনে নিন গরীবের আমিষ বলে পরিচিত ডালের নানান গুনাগুন

ডালের নানান গুনাগুন
আয়েশা সিদ্দিকা

এক সময় বাংলাদেশে মুখে মুখে ছিল ‘মাছে ভাতে বাঙ্গালী’। অ্যাজ আর সে রকম দিন নাই তবে আজ শোনা যায় ‘ডালে ভাতে বাংগালী’ । দৈনন্দিন খাবার তালিকায় ডাল ছাড়া যেন চলে না কারো। পুষ্টিতে ভরা খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডাল। খাবারটিতে চর্বি কম থাকে, আবার প্রোটিনেরও সমৃদ্ধ উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং আশঁ আছে। প্রতিদিন ডাল খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। নিয়মিত ডাল খেলে তা দীর্ঘ সময় ধরে পেট ভরা থাকে। ফলে ক্ষুধাও কম লাগে, যা ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। এটি সারাদিন আমাদের  কর্ম চঞ্চল রাখে। শুধু কি তাই?  এটি হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি বিভিন্ন সংক্রমণ ব্যাধি রোধেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

ডায়েটে প্রতিদিন ডাল রাখবেন-

মৃত্যুঝুঁকি কমায়

এক কাপ ডাল ১৮ গ্রাম চর্বিহীন প্রোটিন সরবরাহ করে। এটি প্রোটিনের উৎস এবং এতে কোন কোলেস্টেরল থাকে না । ফলে নিয়মিত চর্বিহীন প্রোটিন খেলে ক্যান্সার এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের হাত থেকে রক্ষা করে মৃত্যুঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

হজমে সাহায্য করে
ডালে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় আশঁ আছে যা হজমে সাহায্য করে। এছাড়া কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও বেশ কাজ  করে এই ডাল।

হার্টকে দেয় সুরক্ষা 
এতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং ম্যাগনেসিয়াম আছে যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলিক অ্যাসিড ধমনীর প্রাচীরকে সুরক্ষা দেয় এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তের প্রবাহ বাড়ায়।

ঝুঁকি কমায় অ্যানিমিয়ার
প্রতি কাপ ডাল নারী এবং পুরুষের উভয়ের শরীরের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় আয়রনের অভাব পূরণ করে। আয়রন শরীরের রক্তের কোষ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সাথে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে ডাল।

 রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে
মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মতো বিভিন্ন উপাদান বিশেষ করে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিঙ্কের সমৃদ্ধ উৎস হলো ডাল। খাবারটি বিভিন্ন ধরনের রোগের সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাছাড়া এতে ভিটামিন এ, সি এর মতো এমন কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে  যা কোষের ফ্রি র‍্যাডিকেল গুলোকে ধ্বংস করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

এতে সেলেনিয়াম নামক এমন এক উপাদান আছে, যা প্রদাহ রোধে সাহায্য করে। তাছাড়া খাবারটি টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে এবং ঘাতক টি কোষের উৎপাদন কমিয়ে আনতে অবদান রাখে। ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় সহজে। তাই ক্যান্সারের হাত থেকে বাঁচতে আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ডাল রাখা উচিত।

কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম 

Exit mobile version