কৃষিসংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার পরে নকলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে শাক-সবজির আবাদ বেড়েছে

শাক-সবজির আবাদ বেড়েছে

শাক-সবজির আবাদ বেড়েছে
মো. মোশারফ হোসাইন, শেরপুর প্রতিনিধি:
শাক-সবজির আবাদ বেড়েছে : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত প্রতি ইঞ্চি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে শেরপুরের নকলা উপজেলায় চলতি খরিপ-১ মৌসুমে বাড়ির আঙ্গিনাসহ ৩৫০ হেক্টর জমিতে শাক সবজির আবাদ বেড়েছে।
নকলা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর উপজেলায় বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ও অর্জন ছিলো ৮৫০ হেক্টর জমি; কিন্তু এবছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত প্রতি ইঞ্চি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে খরিপ-১ মৌসুমেই তা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২০০ হেক্টর। এহিসেব মতে উপজেলায় চলতি  মৌসুমেই শাক সবজির আবাদ বেড়েছে ৩৫০ হেক্টরেরও বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নকলা উপজেলা কৃষি অফিসের বিভিন্ন স্তরের কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের বাড়ির আঙ্গিনায় শাক সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করায় ও পরামর্শ সেবা প্রদানের ফলে এবং কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত প্রতি ইঞ্চি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে কৃষি অফিস ও কৃষকের এ সফলতা এসেছে বলে কৃষি অফিসার ও কৃষকসহ অনেকে মনে করছেন।
শেখ হাসিনার নির্দেশিত প্রতি ইঞ্চি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে আবাদ যোগ্য কিন্তু পতিত রয়েছে এমন জমিতে বিভিন্ন ফসলের আবাদ বেড়েছে বলে শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসসহ নকলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার (ইউএও) কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস জানান, কৃষি বান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা পাওয়ার পরে, দেশের আবাদ যোগ্য কিন্তু অনাবাদী রয়েছে এমন প্রতি ইঞ্চি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে উপজেলা কৃষি অফিসের উদ্যোগে ও আয়োজনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক কৃষাণীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি উদ্বুদ্ধ করণ উঠান বৈঠক করা হয়েছে। এসকল উদ্বুদ্ধ করণ উঠান বৈঠকে শেরপুর খামার বাড়ির উপপরিচালক (ডিডি) ড. মোহিত কুমার দে, অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) কৃষিবিদ মো. গোলাম রাসূল, অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) কৃষিবিদ সুলতান আহাম্মেদসহ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের কৃষি অফিসারগন উপস্থিত ছিলেন। কৃষক কৃষাণীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধ করণ উঠান বৈঠক ও বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দানের ফলেই চলতি খরিপ-১ মৌসুমে উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে শাক সবজির আবাদ বেড়েছে বলে কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস মনে করেন। 
শেরপুর খামার বাড়ির উপপরিচালক (ডিডি) ড. মোহিত কুমার দে জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক দেশের প্রতি ইঞ্চি জমির সর্বোত্তম ব্যবহার করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ ও দিক নির্দেশনায় জেলার প্রতিটি উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে বিভিন্ন এলাকায় কৃষক কৃষাণীদের নিয়ে উদ্বুদ্ধ করণ সভা ও বেশ কিছু উঠান বৈঠক করা হয়েছে। উদ্বুদ্ধ করণ সভা ও উঠান বৈঠকের আলোচনা শেষে কৃষকরা নিশ্চিত লাভের সম্ভাবনা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বউদ্যোগে নিজ নিজ পতিত জমিতে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির চাষ করেছেন। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার নকলা উপজেলাতে ৩৫০ হেক্টরসহ জেলার প্রতিটি উপজেলাতে প্রায় একই হারে পতিত জমিতে বিভিন্ন ফসলের আবাদ বেড়েছে বলে তিনি জানান।
চলতি খরিপ-১ মৌসুমের মতো আগামী সকল মৌসুম গুলোতে এর ধারাবাহিতকা বজায় রাখতে নকলার মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কৃষি অফিসার (এসএএও) বানেশ্বরদী ইউনিয়নের ভূরদী ব্লকে কর্মরত আসাদুল হক বাবু, বানেশ্বরদী ব্লকের আশরাফুল আলম, টালকী ব্লকের সারোয়ার জাহান শাওন, বাছুরআলগা ব্লকের মশিউর রহমান, আব্দুল মোতালেব, আনোয়ার হোসেন, এম.এ সামাদ ও আলতাফ আলীসহ অনেকে; উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা (এসএপিপিও) ফকির মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এইও) কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনি, অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি অফিসার (এইউএও) কৃষিবিদ রোকসানা নাসরিনসহ উপজেলা কৃষি অফিসার, উপপরিচালক ও আঞ্চলিক পর্যায়ের উর্ধ্বতন কৃষি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন স্তরের কৃষি অফিসারগন নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
কৃষকের পতিত জমিতে বিভিন্ন কৃষি পণ্যের আবাদ করায় তারা লাভবান হচ্ছেন। ফলে আগামী মৌসুম হতে কৃষকরা নিজেরাই নিজ নিজ পতিত জমিতে চাষ উপযোগী বিভিন্ন কৃষিপণ্য আবাদ করবেন বলে ভূরদী কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যান সংস্থার সভাপতি ছাইদুল হক, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিনসহ অনেকে জানান। এতেকরে দেশের কৃষি অর্থনীতির চাকা অধিক সচল ও সমবৃদ্ধ হবে, এমনটাই মনে করছেন কৃষি অফিসার, কৃষক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

Exit mobile version