বশিরুল ইসলাম ঃ
তরল দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ঃ দেশে তরল দুধের উৎপাদন বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশ তরল দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক। তিনি আরও বলেন, সরকারের বাস্তবমুখী কার্যক্রমের ফলে দেশ আজ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং ডিম উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে।
আজ বুধবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিমেল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের তৃতীয় তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ওরিয়েন্টেশন এ কথা বলেন মহাপরিচালক। এএসভিএম অনুষদের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সেকেন্দার আলী, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন এএসভিএম অনুষদের ডীন প্রফেসর. ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেন, আমাদের দুধের উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। আমরা সঠিক পথে রয়েছি। দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি তথা দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এজন্য কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমকে বেগবান করা হচ্ছে। পাশাপাশি খামারিদের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তি ও সঠিক ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাছুরের মৃত্যুহার কমিয়ে আনা, বংশগতি ধারার মান উন্নয়ন ও উৎপাদিত দুধের বাজার সম্প্রসারণে কাজ করা হচ্ছে। কৃষককে উৎসাহিত করতে স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি, আমরা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারব।
উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন বলেন, পোলট্রি শিল্প দেশের আমিষ চাহিদা পূরণে পাশাপাশি যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখছে। গ্রামের কৃষক ঘরের পাশে হাঁস-মুরগি পালছে। ডিম বিক্রি করছে। গ্রামে গেলে দেখা যায়, একজন কৃষক তার ছোট্ট বাড়িতে এক সঙ্গে হাঁস-মুরগি ও গরু পালন করছে। বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করছে। বাড়ির সঙ্গেই টং দোকান বানিয়ে সেখানে তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করছে। এগুলো আমাদের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
ডা. উদয় কুমার মহন্ত এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং ইন্টার্ণশিপে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন। এই ইন্টার্ণশিপ প্রোগ্রামে ৪৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিবে । আগামী ৬ মাস শিক্ষার্থীরা দেশে বিভিন্ন জায়গায় ও ভারতে ৬মাস ইন্টার্ণি করবে। উক্ত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে লগ বুক বিতরন করা হয়।