বাকৃবি প্রতিনিধি
স্প্যানিশ জাতীয় গবেষণা কাউন্সিলের (সিএসআইসি) সাইবারমেট্রক ল্যাব জুলাই, ২০১৭ সংস্করণে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের ১৫০টি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অবস্থান প্রথম
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, শিল্পের প্রযুক্তি স্থানাšতর, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতা, সাম্প্রদায়িক সন্নিবেশ অর্থাৎ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা এমনকি রাজনৈতিক প্রভাবও বিবেচনা করে তৈরী করা হয়েছে এ র্যাঙ্কিং। ২০০৪ সাল থেকে সিএসআইসির সাইবারমেট্রক ল্যাব নিয়মিত বিশ্বেও সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতি বছর দুইবার জানুয়ারি ও জুলাই মাসে তারা ওই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে।
তবে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাকৃবির অবস্থান দুই হাজার ৬১তম। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ই র্যাঙ্কিংয়ের দুই হাজারের ভিতরে নেই। র্যাঙ্কিংয়ে দেশের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (২১৩৪), তৃতীয় অবস্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (২২৭৫), চতুর্থ অবস্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (২৭৫৭), পঞ্চম অবস্থানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (২৮৭০), ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় (৩০১০), সপ্তম অবস্থানে রয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (৩০৫৪), অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বেসরকারি ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাটি অব বাংলাদেশ (৩৩৪৩), নবম অবস্থানে রয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (৩৪৯৯) এবং দশম অবস্থানে রয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (৩৫২৮)।
আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের সেরা পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় ম্যাচাচুচেস্ট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে যথাক্রমে ইউনির্ভাসিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া বার্কলে, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান।
এশিয়ার মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ৪৩তম। আর ভারতের মধ্যে শীর্ষে থাকা ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি বোম্বের বিশ্ব র্যাঙ্কিং ৫৬১তম।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, এ অর্জন বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। এ অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার খুবই আনন্দিত। অর্জন ধরে রাখতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
.