কৃষিসংবাদ

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী দিবস পালিত

নারী দিবস

নারী দিবস

কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ উপলক্ষে ৮ মার্চ রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শুরু হয় একটি শোভাযাত্রা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী সহকর্মীদের সামনে রেখে শোভাযাত্রাটির নেতৃত্ব দেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। এসময় রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মিটু টৌধুরীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বতস্ফূর্তভাবে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় শিক্ষক সমিতি, অফিসার পরিষদ, কর্মচারী পরিষদ, হল প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টরিয়াল বডিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ছাত্রী ও ছাত্ররা অংশ নিয়েছে।

এরপর মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সহযোগিতায় বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধকল্পে অভিযোগ কমিটির সভাপতি এবং কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সানজিদা পারভীন রিতুর সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. নাসরিন সুলতানা লাকীর পরিকল্পনায় পরিকল্পনায় ও ব্যবস্থাপনায় এবং কৃষি অর্থনীতি ও পলিসি বিভাগের লেকচারার তাবিয়া বিনতে শানের সঞ্চলনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মিটু চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড, অফিসার পরিষদের সভাপতি মোঃ আনিছুর রহমান, প্রক্টর ড. সোহেল মিঞা প্রমুখ।

যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধকল্পে অভিযোগ কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. সানজিদা পারভীন রিতু বলেন, “নারী-পুরুষ ভেদাভেদ না করে মেধা ও পরিশ্রমের ভিত্তিতে যোগ্য ব্যক্তিদের বিভিন্ন পদে স্থান পাওয়া জরুরী।” তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাহসের সাথে পথ চলতে অনুরোধ করেন। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেন, “পরিবার থেকেই নারীদের সম্মান করার প্রাথমিক শিক্ষাটুকু দেয়া উচিত।”

Exit mobile version