কৃষিসংবাদ

একোয়াপনিক্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে চান বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত সালাম

বাকৃবি প্রতিনিধি,

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. এ. সালাম। একোয়াপনিক্সের (মাছের পানি ব্যবহার করে মাটিবিহীন সবজি উৎপাদন) একজন অন্তপ্রাণ মানুষ। বাসার পুরোটো ছাদ জুড়ে একোয়াপনিক্সর চাষ। তিনি পুষ্টি প্রবাহ পদ্ধতি, মিডিয়া বেস পদ্ধতি, উলম্ব পদ্ধতি, একোয়াপনিক্স বা ঝর্ণার মাধ্যমে পদ্ধতি ব্যবহার করে তেলাপিয়া, কমন কার্প, মাগুর, শিং ও পাঙ্গাস মাছ চাষের সাথে একই পানি ব্যবহার করে কোন ধরণের রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই টমেটো, কলমি, কচু, ঢেঁড়স, পুদিনা, লালশাক, পুইশাক, বরবটি, ধুন্দল, চিচিঞ্চা, স্টবেরী, পেপে, করলা, ভুট্ট্রা, চালকুমড়া, লেটুস, কাকড়োল, ওলকফি ও বেগুন উৎপাদন করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২২” অর্জন করেন তিনি।

গত ১৬ জুলাই রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২১ এবং ১৪২২ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছ থেকে রৌপ্য পদক গ্রহণ করেন। এ সময় তিনি নগদ ৫০ হাজার টাকা, ২৫ গ্রাম ওজনের রৌপ্য মেডেল, ও সনদ গ্রহণ করেন। দেশের কৃষি খাতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার প্রতিবছর এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। দশটি শ্রেণিতে পাঁচটি সোনা, নয়টি রৌপ্য এবং ১৮টি ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হয়।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মইনুদ্দিন আবদুল্লাহ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং পুরস্কার বিতরণী পর্বটি সঞ্চালনা করেন।

অনুভূতি জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. এম. এ. সালাম বলেন, যেকোন স্বীকৃতিই ভালো লাগে সবার। এই স্বীকৃতির জন্য আজ আমার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো। সঠিক মান বজায় রেখে এখন আরো ভালো কাজ করতে হবে আমাকে। আরো সামনে এগিয়ে যাওয়ার নতুন করে অনুরেপ্ররণা পেলাম।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সর্ম্পকে জানতে চাইলে জানান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একোয়াপনিক্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যেখানে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রদর্শণীর ব্যবস্থা থাকবে। ফলে সারাদেশসহ বিদেশ থেকে লোক এসে এ পদ্ধতি সর্ম্পকে জানতে পারবে এবং পদ্ধতির বিস্তৃতি ঘটবে। একোয়াপনিক্স ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি।

Exit mobile version