কৃষিসংবাদ

খামারবাড়িতে ‘নিরাপদ খাদ্য সম্মেলন-২০১৬’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

খাদ্যে ভেজাল

 কৃষিসংবাদ ডেস্কঃ

নিরাপদ খাদ্য সম্মেলন-২০১৬

খাদ্যে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কটিনাশকের ব্যবহার, মাছ ও ফলে ফরমালিন, অন্যান্য প্যাকেটজাত পণ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকারক রং ব্যবহারসহ নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তিতে নানা সমস্যার প্রেক্ষাপটে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। কিস্তু সরকারের একাধিক মন্ত্রনালয় এবং দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সবার একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার রাজধানীর খামার বাড়িতে সবার মাঝে নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিতে করণীয় বিষয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। ‘নিরাপদ খাদ্য সম্মেলন-২০১৬’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ফুড সেফটি নেটওয়ার্ক। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ মাইক রবসন বলেন, নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি সফলভাবে নিশ্চিত করতে হলে, সরকার, বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন এবং জনগণকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে।

একই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আইন বিষয়ে জনগণকে অবহিত করার পাশাপাশি তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হবে। অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সভাপতি ও প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতেই সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে জনগণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। কারণ আইন অনেক আছে, অনেক হয়েছে, কিন্তু আইনের বাস্তবায়নটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় তিনি বক্তাদের আলোচনা থেকে উঠে আসা সুপারিশগুলো সরকার বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দেন। সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- আইন বাস্তবায়নে সর্বস্তরের নাগরিক সংগঠন এবং পেশাজীবী সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করে দেশের সব জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ‘নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থপনা সমন্বয় কমিটি’ তৈরি করতে হবে; দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পুষ্টিবিদ নিয়োগ দিতে হবে।

সেমিনারে অন্যান্য বক্তা বলেন, নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ বাস্তবায়ন না হওয়ায় সাধারণ মানুষ নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তিতে নানামুখি সমস্যায় পড়ছেন। আইন প্রণয়নের পর দু’বছর অতিবাহিত হলেও এটি কেবল খাতা কলমেই রয়ে গেছে। আইন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টাদের কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। আইনের অভাবের চেয়ে এখন আইন প্রয়োগের দূর্বলতাও বড় সমস্যা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফুড সেফটি নেটওয়ার্কের সভাপতি ফরিদা আক্তার, এফএও এর ফুড সেফটি প্রোগ্রাম অফিসার ইনচার্জ ড. শ্রীধর ধর্মাপরী, আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন ইউনিভার্সিটি কলেজের অধ্যাপক অ্যালান রিলেই প্রমুখ।

কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম

Exit mobile version