ঘাষিয়াখালী-মংলা নৌ-চ্যানেল পুনঃখননে ক্ষতির মুখে কৃষকেরা

ক্ষতির মুখে কৃষকেরা
ক্ষতির মুখে কৃষকেরা

এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট. বাগেরহাট অফিস :

ক্ষতির মুখে কৃষকেরা ঃবিশ্বের সর্ব বৃহৎ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনকে বাঁচাতে দেশের পরিবেশবাদী ব্যক্তি ও সংগঠন, বাংলাদেশ সরকার, আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংগঠন এমনকি জাতিসংঘের তৎপরতা থেমে নেই। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, আমরা নিজেদের ভুলেই মাঝে মাঝে নিজেদের সর্বনাশ করে ফেলি। এ যেন ‘নিজের পায়ে কুড়াল মারা’।বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌ প্রটোকলভুক্ত ঘাষিয়াখালী – মংলা চ্যানেলের দুই পাশের ভরাট হয়ে যাওয়া সংযোগ খালগুলো পুনঃখনন করায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খাল খননের ফলে এখানকার শত শত পরিবারের বসতবাড়িতে থাকা মূল্যবান ফলদ ও বনজ গাছ কেটে এবং উপড়ে ফেলাসহ চিংড়ি ঘেরের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জানাচ্ছেন।

ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে মাতিন মোল্লা নামক এক কৃষক ক্ষতিপূরণের দাবিতে লিখিত আবেদনও করেছেন। বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, মোংলা-ঘাষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ-চ্যানেল সংলগ্ন রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের রোমজাইপুর এলাকায় ভারানিয়া-চামারখালী খাল খননের সময় ওই গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিন মোল্লার ছেলে মাতিন মোল্লার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ছোট কাটালি মৌজার ৪৭০ নং খতিয়ানের ১৭০ ও ১৭১ দাগের উপর ২.৫৮ একর জমির উপর থাকা বাগানবাড়ি ও মাছের ঘেরের একাংশ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার খনন কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র দিয়ে গাছ-পালা উপড়ে ফেলে ও সব গুড়িয়ে দেয়। এতে ওই মৎস ঘের ও বাগানবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, তার বাগানে থাকা মূল্যবান মেহগনি, বেল, নিম, গাব, আম, জাম, নারকেল, লেবু, সিরিস, ছফেদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১২ শত ৪০ টি গাছ উপড়ে ও গুড়িয়ে নষ্ট করা হয় এবং মৎস্য ঘেরেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে তার প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার কুমার পালকে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে এ ব্যাপারে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মোঃ আবু হানিফ বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি, তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানিনা।’

বাগেরহাটের পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রিফাত জামিল বলেন, আবেদনকারী কিংবা অভিযোগকারী যদি প্রকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকেন তাহলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *