কৃষিসংবাদ

নানাগুনের অধিকারী ঘৃতকুমারী অনন্য এক ভেষজ উদ্ভিদ

কৃষিবিদ মো:নূরুল হুদা আল মামুন*
ঘৃতকুমারী একটি অতি জনপ্রিয় ভেষজ গাছ। ঘৃতকুমারীর ইংরেজি নাম Chinese Aloe,Indian Aloe,True Aloe, Barbadose Aloe,Burn Aloe, First Aid Plant| । ঘৃতকুমারী গাছের উদ্ভিদ তাত্ত্বিক নাম Aloe vera (L) Burm.f. ও পরিবার Xanthorrhoeaceae | Alovera Plant। নাটোরের চাষীদের কাছে এটি এখন লাভজনক ভেষজ উদ্ভিদ নামে অধিক পরিচিত। নাটোর সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ভেষজ গ্রামের চাষীরা এ ফসলটি চাষ করে বছরে বিঘা প্রতি ২ থেকে ৩ লাখ টাকা লাভ করেছেন। প্রতিদিন সেই গ্রাম থেকে এক ট্রাক ঘৃতকুমারী গাছের পাতা দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায়। বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে প্রথম নাটোরের লক্ষীপুরের খোলাবাড়িয়া গ্রামের আফাজ পাগলা আ্যালোভেরা চাষ শুরু করেন। ১৯৯৭ সনে সে গ্রামে এর চাষ ছিল মাত্র ২ হেক্টর। বর্তমানে গ্রামটিতে প্রায় ২৫ হেক্টরে জমিতে আ্যলোভেরা চাষ হয়। লক্ষীপুর ইউনিয়নের ১৬ টি গ্রামের প্রায় ১৪ টি গ্রামে এর চাষ হয়।
উৎপত্তি ও বিস্তার: ঘৃতকুমারীর আদি নিবাস উত্তর আফ্রিকায় হলেও তা এখন বাংলাদেশ সহ এশিয়ার আরও অনেক দেশে জন্মাচ্ছে। উত্তর আফ্রিকার মরোক্ক,মৌরিতানিয়া,মিশর এমনকি সুদানেও এ গাছ জন্মে। সপ্তদশ শতাব্দিতে আলোভেরা চীন ও দক্ষিণ ইউরোপের প্রবর্তিত হয়। অষ্ট্রেলিয়া, বারবাডোজ, বেলিজ, নাইজেরিয়া, প্যারাগুয়ে এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও গাছটি দেখা যায়। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা,থাইল্যান্ড,ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মালেশিয়া প্রভৃতি দেশেও ঘৃতকুমারী জন্মে।
প্রজাতি ও গাছের বর্ননা:
ঘৃতকুমারী বহুবর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ এবং দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মত। এর পাতাগুলি পুরু, দুধারে করাতের মত কাঁটা এবং ভেতরে লালার মত পিচ্ছিল শাঁস থাকে। কার্ল লিনিয়াস ১৭৫৩ সনে সর্বপ্রথম এ গাছের প্রজাতি অষড়ব ঢ়বৎভড়ষরধঃধ াধৎ.াবৎধ নামে বর্ননা করেন। পরে ১৭৬৮ সনে নিকোলাস লরেন্স বুরম্যান এর প্রজাতির নাম দেন অষড়ব াবৎধ (খ.) ইঁৎস.ভ. ঘৃতকুমারী গাছ বেশ কয়েক বছর বাচে। ইহা একটি রসালো বা সাকুলেন্ট প্রকৃতির গাছ। এই গাছ ৬০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়, গাছের গোড়া থেকে অনেকগুলো পাতা একরে পর এক উধ্বমুখী ভাবে বের হয়। পাতা বেশ মাংসল,পুরু,নরম,সবুজ ও দুই কিনারা কাটাযুক্ত বা করাতের মতো। গ্রীষ্মকালে লম্বা ডাটায় এর ফুল ফোটে। ফুলের ডাটা প্রায় ৯০ সেমি লম্বা হয়। ফুলের রং হলদে, নলাকার।
ব্যবহার: ইতিহাস থেকে জানা যায় প্রায় দুই হাজার বছর পূর্ব থেকেই এই গাছ ভেষজ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রসাধন ও ওষুধ শিল্পের কাচামাল হিসেবে আ্যালোভেরার নির্যাস ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শরীরের নানা রোগ ব্যধি দূর করতে এ গাছের ব্যবহার সর্বজনবিদিত। এর পাতা কাটলে ভেতরে জেলির মতো থকথকে তালের শাসের মতো সাদা স্বচ্ছ শাস পাওয়া যায়। হালকা তিক্ত স্বাদের এ শাস শরীর ঠান্ডা রাখার জন্য ও শক্তি বাড়ানোর জন্য শরবত করে খাওয়া হয়। শহর বন্দরে অনেক খুচরা বিক্রেতা ফুটপাতে এই শরবত বিক্রি করে থাকে। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জ্যামাইকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, রাশিয়া, জাপান ও চীনে আ্যালোভেরা থেকে ভেষজ ওষুধ তৈরি করা হয়॥ ভেষজ ছাড়াও আ্যালোভেরা ময়েশ্চারাইজিং লোশন,ইয়োগার্ট,পানীয়,ডেজার্ট ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ঘৃতকুমারী পাতার রস, ২-৪ চামচ করে দিনে একবার খেলে যকৃতের ক্রিয়া বৃদ্ধি করে৷কোন জায়গা যদি আগুনে পুড়ে যায় তাহলে টাটকা পাতার শাঁস ঐ জায়গায় লাগলে চট্ জলদি আরাম পাওয়া যায়৷ ফলে ফোসকা পড়ে না এবং চামড়ার দাগ হয় না৷মাথা যদি সব সময় গরম থাকে তাহলে পাতার শাঁস প্রতিদিন একবার তালুতে নিয়ম করে লাগালে মাথা ঠান্ডা হয়৷ একজিমা ঘৃতকুমারী শাঁস প্রতিদিন নিময়ম করে কয়েক সপ্তাহ লাগালে চুলকানি খেকে আরাম পাওয়া যায়৷কোমরে ব্যথা হলে শাঁস অল্প একটু গরম করে মালিশ করলে আরাম পাওয়া যায় ৷ঘৃতকুমারী শাঁস ১-২ চামচ ও ২ চামচ মিছরি একসঙ্গে সেবন করলে শরীরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়৷ঘৃতকুমারী পাতার রস বিষাক্ত উপাদানের প্রতি বিশেষ ভুমিকা পালন করতে পারে । এ জন্য চেহারা মেচেতার ওপর কিছু ঘৃতকুমারী পাতার রস রেখে দেয়, চেহারার ত্বকের নরম হবে এবং কিছু ক্ষতচিহ্ন দেখা যায় না । মুখের মেচেতা খুব গুরুতর ,তাহলে ঘৃতকুমারী পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে, প্রতিদিন দু’বার ,প্রত্যেকবার ১০ মিলিলিটার ,কার্যকরভাবে মেচেতা প্রতিরোধ করা যায়।ঘৃতকুমারীর একটি পাতা, মধু এ একটি ছোট শসা ছোট করে মিশিয়ে করে মাস্ক করে এবং মেচেতার ওপর রেখে দেন, চামরার ফুস্কুড়িও প্রতিরোধ করতে পারে । উল্লেখ্য যে, নারীদের মুখে যদি মেচেতা থাকে, তাহলে মেক-আপ না করা ভালো । কারণ যেসব মেক-আপ ক্রিম ত্বকের সূক্ষ্মরন্ধ্রের স্বাভাবিক রূপান্তর বাধা দেবে এবং মুখের মেচেতা গুরুতর হবে ।
মাটি ও জলবায়ু
সবরকম জমিতেই ঘৃতকুমারী চাষ সম্ভব তবে দোঁয়াশ ও অল্প বালি মিশ্রিত মাটিতে গাছের বৃদ্ধি ভালো হয় । সুনিস্কাশিত জমি যেসব জমিতে পানি জমে না এরুপ উচু জমিতে ঘৃতকুমারীর চাষ করা যায়। তবে লবনাক্ত ও চরম অম্লীয় মাটিতে ভালো হয় না। নিচু ও পানি জমা জমিতে গাছ পচে যায়। যে কোন দোআশ মাটিতে চাষ ভালো হয় তবে বেলে দোআশ মাটি উত্তম। এটেল মাটিতে চাষ না করা ভালো। ছায়া জায়গায় হবে না, ঘৃতকুমারীর জন্য দরকার সারাদিন রোদ পড়ে এমন জমি।
জমি তৈরি
ঘৃতকুমারী চাষ করতে হলে জমি প্রথমে ভালোভাবে পরিস্কার করে চাষ দিতে হবে। চাষের সময় হেক্টর প্রতি ১০ থেকে ১২ টন গোবর মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। এছাড়া এ সময় হেক্টর প্রতি ২২৫ থেকে ২৫০ কেজি টিএসপি ও ৭৫ থেকে ১০০ কেজি এমওপি সার দিতে হবে। নাটোরের আলোভেরা চাষিরা সাধারণত বেশি করে গোবর সার দিয়ে এর চাষ করেন, খুব কম চাষীই রাসয়নিক সার দেন। অনেক চাষীরা প্রচুর ছাই ব্যবহার করে থাকেন। তবে কেউ কেউ বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ কেজি টিএসপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার জমি প্রস্তুতের সময় ব্যবহার করেন। সার মেশানোর পর জমিতে চারা লাগানোর জন্য বেড তৈরি করতে হবে। বেড হবে ১.৫ থেকে ২.২৫ মিটার চওড়া। প্রতি দুই বেডের মাঝে ৪০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার নালা রাখতে হবে।
চারা রোপণ
ঘৃতকুমারীর তিন রকম চারা লাগানো হয়- রুট সাকার বা মোথা,গাছের গোড়া থেকে গজানো চারা ও গাছের গোড়ার অংশ কেটে ফেলে পুরো গাছ। বাণিজ্যিকভাবে রুট সাকার লাগানো লাভজনক নয় বিধায় এটি লাগানো হয় না। পুরাতন গাচের গোড়া থেকে গজানো চারা মাতৃগাছ থেকে আলাদা করে প্রথমে এক খন্ড জমিতে বা বেডে লাগানো হয়। সেখানে এসব চারা ২ থেকে ৩ মাস লালন পালন করে বড় করা হয়। পরে মূল জমি চাষ দিয়ে এসব চারা তুলে সেখানে লাগানো হয়। এতে চারার প্রতিষ্ঠা ভাল হয়। তবে এরুপ চারা লাগিয়ে পাতা তোলার জন্য ৬ মাস অপেক্ষা করতে হয়। তাই বাণিজ্যিক চাষের জন্য এরুপ চারা লাগানোর চেয়ে মোথা কেটে বাদ দিয়ে সরাসরি পুরাতন গাছ লাগাতে বেশি পছন্দ করে থাকেন। এতে দ্রুত পাতা তোলা যায়। এরকম গাছ লাগানোর ৩ মাসের মাথায় পাতা তোলা যায়। অনেকদিন জমিতে থাকার পর একই গাছ থেকে উপর্যুপরি পাতা তোলার পর গাছের গোড়া যখন লম্বা হয়ে যায় এবং গাছ যখন খাড়া থাকতে পারে না,তখন গাছ কেটে ২/৩ টা পাতা বাদ দিয়ে সেসব গাছ লাগাতে হবে। লাগানো গাছ যেন সুস্থ সবল হয় সেদিক লক্ষ্য রাখতে হবে।
রোপন সময়
বছরের যে কোন সময় ঘৃতকুমারীর চারা লাগানো যায়। তবে শীত ও বর্ষা কালে চারা না লাগানো ভালো। সাধারণত কার্তিক অগ্রাহায়ণ মাসে চারা বেশি লাগানো হয়। তবে শীত ও বর্ষাকালে চারা না লাগানো ভালো। সাধারণত কার্তিক- অগ্রহায়ণ মাসে চারা বেশি লাগানো হয়। কেননা এ সময় চারা লাগালে শীতের মধ্যে গাছ মাটিতে লেগে যাওয়ার চেষ্টা করে। শীতের সময় বাজারে আ্যালোভেরার পাতার চাহিদা থাকে না। তাই চাষিরা এ সময় পাতা সংগ্রহ থেকে বিরত থাকে। পক্ষান্তরে এই ২-৩ মাসের মধ্যে চারা জমিতে ভালো ভাবে লেগে যায়। শীত শেষে বসন্তে নতুন পাতা ছাড়তে শুরু করলে পাতা সংগ্রহ করা শুরু হয়। এ পদ্ধতিতে চাড়া রোপন করলে বেশি পাতা পাওয়া যায়।
রোপন দূরত্ব
চারা সারি করে লাগানো হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব ৭ ইঞ্চি ও প্রতি সারিতে ৬ ইঞ্চি পর পর চারা লাগানো হয়। ১.৫ মিটার চওড়া বেডে ২ সারিতে ও ২.২৫ মিটার চওড়া বেডে ৩ সারিতে চারা রোপণ করা হয়।
সার ও সেচ প্রয়োগ
সাধারণত কোন রাসয়নিক সার ব্যবহার করা হয় না। যদি ইউরিয়া সার দিতে হয় তাহলে বছরে একবার সবটুকু ইউরিয়া সার জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসে জমিতে ছিটিয়ে দিলেই চলে। সার ছিটানোর পর আগাছা নিড়িয়ে মাটির সঙ্গে সার মিশিয়ে দিতে হয়। বেশি ইউরিয়া সার দিলে রোগের আক্রমণ ও প্রকোপ বেড়ে যায়। শুস্ক মৌসুমে জমিতে প্রয়োজন মাফিক সেচ দিতে হবে। মাঝে মাঝে জমির আগাছা নিড়িয়ে দিতে হবে। ঘৃতকুমারী গাছ জমিতে প্রায় দুই বছর থাকে। তাই দ্বিতীয় বছরেও প্রথম বছরের ন্যায় একই হারে জমিতে সার ও সেচ দিতে হবে।
বালাই ব্যবস্থাপনা
পাতার দাগ রোগ
ঘৃতকুমারী গাছে পাতায় দাগ পড়া এক প্রধান সমস্যা। শীতকালে এ রোগ কম থাকে। কিন্তু শীত শেষে ফাল্গুন মাসে এ রোগের প্রকোপ বেড়ে যায় এবং পাতার ব্যাপক ক্ষতি হয়। এরোগের আক্রমণে পাতার অগ্রভাগে আলপিনের মাথার মতো ক্ষুদ্র এক বিন্দুর মতো দাগ পড়ে, সেখান থেকে আঠার মতো কষ বের হয়। ঐ আঠা শুকিয়ে বাদামি দাগের সৃষ্টি করে। এভাবে আক্রান্ত গাচের পাতায় ধীরে ধীরে দাগ বড় হতে থাকে ও দাগের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। এটি ধারনা করা হয় ব্যাকটেরিয় জনিত রোগ তাই ছত্রাক নাশক প্রয়োগে তেমন ফল পাওয়া যায় না। এরোগের কারনে পাতার চেহারা নষ্ট হয়ে যায়। বাজার মূল্যও কমে যায়। তবে যারা বাণিজ্যিকভাবে ঘৃতকুমারী চাষ করেন তারা ১৫ দিন পরপর চুন পানিতে গুলে স্প্রে করে থাকেন।
গোড়া পচা রোগ
গোড়া পচা রোগে গাছের গোড়া পচে যায়। পরে গাছ মারা যায়। বর্ষাকালে ও গাছের গোড়ায় পানি জমে থাকলেও বা ভেজা থাকলে গোড়া পচা রোগ হয়। ছত্রাক নাশক স্প্রে করলে এ রোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।
পোকামাকড়
ঘৃতকুমারী গাছে সাধারণত কোন পোকা মাকড় দেখা যায় না। তবে মাঝে মাঝে ছাতরা পোকা,জাব পোকা, স্কেল পোকা, লাল মাকড় ইত্যাদিও আক্রমণ হতে পারে।
ফসল সংগ্রহ ও ফলন
ঘৃতকুমারী চারা লাগানোর ছয় মাস পর থেকে পাতা তোলা শুরু করা যায়। বছরে ৯ – ১০ মাস পাতা তোলা যায়। শীতকালে পাতা তোলা বন্ধ থাকে। সাধারণত প্রতি ১৫ দিনে একটি পাতা বের হয়। তবে চাষীরা মাসে একটি গাছ থেকে ১-২ টি পাতা সংগ্রহ করে। গাছের বৃদ্ধি ও পাতা বড় হলে প্রতি মাসে ২ টি পাতা তোলা যায়। পাতা তোলার পর পানিতে ধুয়ে পরিস্কার করে ছায়ায় শুকিয়ে আটি বেধে বাজারে বিক্রি করা যায়। অথবা ঝুড়িতে কলাপাতা দিয়ে স্তরে স্তরে সাজিয়ে প্যাকেট করে দূরবর্তী বাজারে পাঠানো হয়। স্থানীয় ভাষায় ৫০ থেকে ৫৫ কেজি পাতার এক আটি বা বোঝাকে এক গাইট বলে। এক ট্রাকে ২০০ থেকে ৩০০ গাইট ধরে। প্রতি ৬ গাইট ঘৃতকুমারীর বাজার দর ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। এ হিসাবে এক বিঘা জমি থেকে বছরে প্রায় ১.৫ থেকে ২ লাখ টাকার পাতা বিক্রি করা যায়। এক বিঘা জমিতে ঘৃতকুমারী চাষ করতে বছরে প্রায় ৬০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা খরচ হয়।
*লেখক: কৃষিবিদ, লেখক ও গবেষক

কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম

Exit mobile version