কৃষিসংবাদ

জামালপুরে ‘চীনাবাদাম উৎপাদন এর আধুনিক কৌশল’ শীর্ষক কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

চীনাবাদাম উৎপাদন

চীনাবাদাম উৎপাদন

কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ

চীনাবাদাম উৎপাদন ঃ জামালপুরে দিন ব্যাপী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে চীনাবাদাম উৎপাদন এর আধুনিক কৌশল’ শীর্ষক কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।  আজ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখ দিন ব্যাপি এ  প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট প্রজননবিদ ড. মোঃ মঞ্জুরুল কাদির। ‘ চীনাবাদাম উৎপাদন এর আধুনিক কৌশল প্রশিক্ষন অনুষ্ঠানে জামালপুর, শেরপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ডিএই, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার  পচিশ জন কৃষি বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণবিদ ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।

আর এ আর এস এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে চীনাবাদাম চাষে নানা সমস্যা, রোগ ব্যাধি ও পোকামাকড়ের আক্রমন ও তার প্রতিকার নিয়ে আলোকপাত করা হয়। এতে প্রশিক্ষক হিসেবে আলোচনা পেশ করেন ICRISAT এর বিশিষ্ট চীনাবাদাম বিশেষজ্ঞ ড. সুনীল চৌধুরী। তিনি অনলাইনে চীনাবাদাম উৎপাদনের নানা কৌশল সম্পর্কে আলোচনা পেশ করেন। পরে উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের নানা প্রশ্নের জবাব প্রদান করেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে ড. মোঃমঞ্জুরুল কাদির বলেন, তৈল বীজ ফসলের মধ্যে চীনাবাদাম একটি অতি উচ্চমানের ফসল। এতে তেলের পরিমান সরিষার চেয়ে বেশি থাকে। এতে প্রায় ৪৮ থেকে ৫০ শতাংশ তেল থাকে। চীনাবাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অতি উচ্চমানের একটি খাবার। বেশি বেশি চীনাবাদাম চাষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন,ফল চাষের উপর এই প্রশিক্ষণ অনুযায়ী আপনারা কৃষি বিশেষজ্ঞগণ যদি চাষিদের চর এলাকায় যেখানে অন্যান্য ফসল ভাল হয় না সেখানে চাষ বিষয়ক নানা পরামর্শ দিতে পারেন তবেই এই প্রশিক্ষণ সফলতা লাভ করবে। 

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. মোঃ হযরত আলী। তিনি বলেন,’চীনাবাদাম চাষ করে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। তবে চীনাবাদাম চাষের দীর্ঘ সময়ের দরকার হয়। যা কমিয়ে আনার জন্য গবেষণা করার প্রয়োজন আছে। তিনি আরো বলেন,’ চীনাবাদামের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি কিভাবে আরো বাড়ানো যায় সে জন্য কাজ করতে হবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন,’ সরকারের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের উৎপাদন দ্বিগুন করতে হবে। আর সে কারনে জামাল্পুরের বিস্তীর্ণ এলাকা চর, যেখানে বছরের বেশির ভাগ সময় অনাবাদি থাকে। সেটাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন পিএসও ড. আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন,’জামাল্পুরে ৪২ % এলাকা চর বেষ্টিত। এখানে চীনাবাদাম চাষ করা গেলে চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। চীনাবাদাম এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তিনি আরো বলেন,’ চীনাবাদামে আফলাটক্সিন রোগে ফলন অনেক কমে যায়। সে জন্য এ বিষয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন আছে।

Exit mobile version