কৃষিসংবাদ

নকলায় মহাপরিচালকের উপস্থিতিতে ব্রিধান ৭৫’র উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

ব্রিধান ৭৫’র উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

মো. মোশারফ হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি:

ব্রিধান ৭৫’র উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত ঃশেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরের উপস্থিতিতে রোপা আমন ২০১৮ মৌসুমে ব্রি ধান-৭৫ এর উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১২ অক্টোবর (শুক্রবার বিকালে) ব্রি’র ফলিত গবেষণা বিভাগের আয়োজনে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরাধীন নকলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় পৌর এলাকার কুর্শা গ্রামের কৃষক লিয়াকত আলীর বাড়ীর আঙ্গীনায় এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

শেরপুর খামার বাড়ির উপ-পরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ আশরাফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ইউএও) কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় ওই মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। এতে সুপ্রিয় অতিথি হিসেবে নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্রি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পিএসও) ড. মো. আতিকুল ইসলাম, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (এসএসও) ড. মো. হুমায়ুন কবীরসহ উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মন্নাফ খা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান আতিক, বৈজ্ঞানীক সহকারী মো. সোহান ও মো. রহুল আমীন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, ভূরদী কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যান সংস্থার সভাপতি মোশারফ হোসেন, উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগনসহ দুই শতাধিক স্থানীয় কৃষক-কৃষাণি ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) গাজীপুরের উদ্ভাবিত ব্রি ধান-৭৫ এর চাষ ও উৎপাদন কৌশলসহ বিভিন্œ সুবিধা সম্পর্কে বক্তারা বিস্তারিত আলোচনা করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর জানান, নকলায় ব্রি ধান-৭৫ এর উৎপাদন পাওয়া গেছে হেক্টর প্রতি কমবেশি ৩৬.৫ মেট্রিকটন। এই ধানের বিশেষ সুবিধা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি জানান, এই ধান স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন (১০৭ দিন থেকে ১১০ দিন)। ব্রি ধান-৭৫ কাটার পরে কৃষকরা অনায়াশে শীত কালীন শাক সবজী চাষ করতে পারেন। যে জমিটা কৃষকরা শীত কালীন শাক সবজী চাষের জন্য বিগতদিনে পতিত রেখে দিতেন, সেই জমিতে এই ধান চাষ করেও নির্দিষ্ট সময়েই শাক সবজী চাষ করতে পারবেন। ফলে একই জমিতে দুই ফসল পাওয়ায় কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন। এই জাতের ধান পেয়ে কৃষকরা খুব খুশি বলে জানান, কৃষক লিয়াকত আলী, মারফত ও হানিফাসহ অনেকেই।

Exit mobile version