কৃষিসংবাদ

পর্দা নামলো তিন দিন ব্যাপী জাতীয় মৌ মেলার

জাতীয় মৌ মেলার

কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ

জাতীয় মৌ মেলার ঃ গতকাল ১২ মার্চ, ২০১৯ তারিখ কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী জাতীয় মৌ মেলার পর্দা নামলো।
এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘পুষ্টি, আয় ও ফলন বাড়াবে মৌচাষ’। রাজধানীর ফার্মগেটের আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিল্কী অডিটরিয়ামে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব (রুটিন দায়ত্ব) ড. মোঃ আব্দুর রৌফ।


বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা।
তৃতীয়বারের মতো এ মেলায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলম।
স্বাগত বক্তৃতা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শাহ মো: আকরামুল হক।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়,মেলায় এবার প্রায় ৩০ লাখ টাকার মধু বিক্রি হয়। গত বছর মেলায় মধু বিক্রি হয়েছিলো প্রায় ১১ লাখ টাকা। সরকারি ৬টি ও বেসরকারি ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৬২টি স্টল অংশগ্রহন করে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেলায় অংশগ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, মধু এখন রফতানি পণ্য তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ফসলের মাঠে মৌমাছি বিচরণ করলে সেখানে বাড়তি পরাগায়ণের কারণে ফসলের উৎপাদন ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। মৌচাষের মাধ্যমে মধু আহরণে সমৃদ্ধি ও শষ্য বা মধুভিত্তিক কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। মৌসুমে সরিষা, ধনিয়া, তিল, কালিজিরা, লিচুসহ আবাদ হয় মোট প্রায় ৭ লাখ হেক্টর জমিতে বা বাগানে, এখানের মাত্র ১০ শতাংশ জায়গায় মৌ বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করে।জড়িত প্রায় ২৫ হাজার মৌ-চাষিসহ মধু শিল্পে জড়িত প্রায় ২ লাখ মানুষ।উৎপাদন প্রায় ৬ হাজার টন। ফসলের এই পুরো সেক্টরটিকে মধু আহরণের আওতায় আনতে পারলে ফসলের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হবে। দেশে এখন প্রায় সাড়ে ছয় লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়।পুরো সরিষার মাঠ মধু সংগ্রহের আওতায় আনা গেলে উৎপাদন যেমন বাড়বে তেমনি ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমবে।

এর আগে গত ১০ মার্চ মৌ মেলার উদ্ভোধন করেন মাননীয় কৃষি মন্ত্রী কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জনাব মীর নুরুল আলম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: নাসিরুজ্জামান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর মো: আহসানুল হক স্বপন, কীটতত্ব বিভাগ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।  

Exit mobile version