দিনাজপুরের নামকরা লাল টসটসে লোভনীয় লিচু দেশের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে

লোভনীয় লিচু

লিছুর খবর
মোঃ রাসেল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি ঃ এখন লিচু বাগানে মৌ মৌ সুগন্ধে মাতাল করেছে মানুষদের মন। পর্যায় ক্রমে বিভিন্ন জাতের পাকা লিচু বাজারে আসতে শুরু করায় ব্যবসায়ী,ক্রেতা-বিক্রেতা ও ফরিয়ারা ব্যস্ত সবে।
দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলা জুড়ে লিচুর আবাদ হয়ে থাকে। তার মধ্যে বিরল উপজেলা ও সদর উপজেলার লিচু সু-স্বাদু ও উন্নত মানের। এ এলাকার লিচুর গুণ ও মানে চাহিদা দেশ জুড়ে। বিরল উপজেলার মাধববাটীতে ও সদর উপজেলার মাশিমপুরে দেশের উৎকৃষ্টমানের লিচু উৎপাদন করে লিচু চাষি। এছাড়া বিরল ও সদর উপজেলার প্রায় প্রতিটি বাড়ির ভিটা, উঠান, আঙ্গিনাতেও লিচুর গাছ লাগিয়ে থাকে লিচু প্রেমিকরা। সাড়ে ৪শত কোটি টাকার লিচু কেনা বেচা হয় লিচু মৌসুমে। যা দিনাজপুরের অর্থনিতিকে সমবৃদ্ধ করে। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর তথ্য মতে জেলায় ছোট-বড় মিলে প্রায় ৩১ হাজার লিচুর বাগান রয়েছে। প্রতিদিন দিনাজপুর থেকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ লিচু রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় কিনে নিয়ে যায় লিচু ব্যবসায়ীরা। রাজধানী সহ বিভিন্ন জেলায় দিনাজপুরের লিচু চাহিদা রয়েছে। তাই দিনাজপুরের লিচু কিনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে লাভের মুখ দেখেন ব্যবায়ীরা।
প্রতি লিচু মৌসুমে দিনাজপুরে প্রায় ১লক্ষ মহিলাদের কর্মসংস্থান হয়। অন্যদিকে প্রায় ৫০ হাজার পুরুষ বিভিন্নভাবে শ্রম দিয়ে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪শত টাকা আয় করে থাকে। যা দিয়ে সংসারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনে তারা।
জেলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে জানাযায়, এবার লিচুর মৌসুমে ৪হাজার ১শত ৩৮ হেক্টর জমিতে লিচু আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে এবং আবাদ অর্জিত হয়েছে ৪হাজার ৭শত ৭০হেক্টর ।উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৫ হাজার ৪শত ৪৭ মেট্রিকটন লিচু। এবং সম্ভাব্য উৎপাদন অর্জিত র্ধা হয়েছে ২৯ হাজার ৩শত ৩৬ মেট্রিকটন লিচু। দিনাজপুর জেলার সর্ব বৃহৎ লিচুন উৎপাদনকারী বিভিন্ন উপজেলায় লিচুর বাম্পার ফলন হওয়ায় এখান কার মানুষ অনেক খুশি। কিন্তু দুর্ভাগের বিষয় দিনাজপুর জেলায় লিচু সংরক্ষনের কোন হিমাগার না থাকায় প্রতি বছর লিচু পচে নষ্ট হয়। যার ফলে ক্ষতি গ্রস্থ হয় লিচু উৎপাদন কারী কৃষকরা। তাই দিনাজপুরে একটি লিচু সংরক্ষনের হিমাগার স্থাপনের দাবি উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *