কৃষিসংবাদ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ধান বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত


মো. বশিরুল ইসলাম

ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস পরিবেশ ও খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলে মতামত দিয়েছেন কৃষি গবেষকরা। তারা জানান, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদন্ড অনুযায়ী সকল বিধিমালা মেনে গোল্ডেন রাইসের পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাজারে পাওয়া অন্যান্য জাতের চালের মতোই নিরাপদ হিসেবে গোল্ডেন রাইসকে ব্যবহার করা যাবে। ইতিমধ্যে অনুমোদন দিয়েছে হেলথ কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ঔষধ সংস্থা- ইউএসএফডিএ, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা।

রবিবার (৮ জুলাই) সকালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত “ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ ধান ” শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. মো. সেকেন্দার আলী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাউরেস এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম।

“বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইসের গবেষণা অগ্রগতি ও নিরাপত্তা বিশ্লেষণ” শীর্ষক মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্ন্তজাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) হেলদিয়ার রাইস প্রোগ্রামের বাংলাদেশে জাতীয় পরামর্শক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, আমাদের দেশে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের ভিটামিন-এ ঘাটতি জনিত সমস্যা যথেষ্ট প্রকট। যেহেতু ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য, সুতরাং সেই খাদ্য গ্রহণ করলে যদি ভিটামিন-এ অভাবও দূর করা যায়, তবে তো তা সোনায় সোহাগা। তবে বাংলাদেশের মাঠেও এই পুষ্টিকর ধানের চাষ হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন উপাচার্য।

ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, গোল্ডেন রাইসের ভাত খাওয়ার মাধ্যমে বিটা-ক্যারোটিন মানবদেহে প্রবেশ করে, যা দেহে ভিটামিন-এ তে রূপান্তরিত হয়। বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষার এ রাইসে অ্যালার্জিসিটি ও টক্সিসিটির কোন প্রভাব পাওয়া খুঁজে পাওয়া যায়নি। কাজেই গোল্ডেন রাইস গ্রহণে পার্শ্বপতিক্রিয়া জনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। এছাড়াও বিটা-ক্যারোটিন একটি স্বাদহীন যৌগ বিধায় এর প্রভাবে ভাতের স্বাদেরও কোনরকম পরিবর্তন হবে না আশা করা যায়।

লেখকঃ
জনসংযোগ কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত)

Exit mobile version