বাগেরহাটে মোল্লাহাটে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু

টিসিবি’র পণ্য বিক্রি

টিসিবি’র পণ্য বিক্রি

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট:

টিসিবি’র পণ্য বিক্রি : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে টিসিবি’র পণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রি শুরু হয়েছে। উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মোল্লাহাট বাজার চৌরঙ্গিতে রবিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই পণ্য বিক্রি করা হয়। রোজা উপলক্ষে প্রতি কেজি চিনি ৫০ টাকা, ডাল ৫০ টাকা, ছোলা ৬০ টাকা, খেজুর ১২০ টাকা ও সয়াবিন তৈল ৮০ টাকায় বিক্রি করা হয়। লাইনে দাড়িয়ে ওই সকল পণ্য ক্রয় করেন সাধারণ মানুষ। বর্তমান বাজার মূল্যের কম বা ন্যায্য মূল্যে ওই সকল পণ্য সামগ্রী ক্রয় করতে পেরে খুশি সাধারণ মানুষ।

টিসিবির পণ্য কিনতে আশা কাওছার খান (৭০)সহ অনেকে বলেন,করোনার কারনে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে। এছাড়া রোজায় আরো বেড়েছে। এমতাবস্থায় খোলা বাজারে টিসিবির পণ্য ন্যায্য মূল্যে পেয়ে তারা খুশি। এধারা অব্যাহত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃস্টি আকর্ষণ করছেন তারা।

রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীন,কর্মহীন অসহায় সাধারণ মানুষ

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট:পবিত্র মাহে রমজানেই বাগেরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় হতাশায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন শ্রমজীবী মানুষগুলো আরো বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে বাড়তি দামের কারণে। শনিবার বিকেলে অবধি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান ও থানা অফিসার চার্জ কেএম আজিজুল ইসলাম দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রনে পৌর বাজার মনিটরিং করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা বলেন। মনিটরিং টিম বাজারের বিভিন্ন দোকানের চাল ,ছোলা,মরি, চিরা সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্যব্যের মূল্য পর্যবেক্ষন করেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এমন উদ্দ্যোগে খুশি হন ক্রেতা সাধারণ।

এছাড়াও প্রতিটি দোকানে দ্রব্যমূল্যের তালিকা দর্শনীয় স্থানে টাঙ্গানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। মনিটরিং টিমের বাজার পরিদর্শনের সময় চাল ব্যাবসায়ী নকুল রায়কে ভোক্তা অধিকার আইনে দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।একই সাথে ওই ব্যাবসায়ীর ঘরে থাকা ইউরিয়া সারের হিসাব দেখাতে না পারায় তাকে আরো ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ৪০ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, ৩০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, দেশী মশুরের ডাল কেজিতে বেড়েছে ১০-১৫ টাকা, আদা ৩৫০ টাকায়, ৬০ টাকার রসুন বর্তমানে ১২০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা বাজারেও প্রতিটি পণ্যের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। ২০ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩০ টাকায়, ঢেড়শ, টমেটো, বরবটি কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। এদিকে রমজান মাস শুরু হওয়ায় মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়।
মুদি দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, ইফতার সামগ্রীর দামও বেড়েছে। ১৫০০ টাকার ৫০ কেজি চালের বস্তা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২১০০-২২০০ টাকায়। এদিকে উপজেলা বাজার ছাড়িয়ে গ্রামের হাটবাজার গুলোতেও সব পণ্যের দাম বেড়েছে। সাধারণ ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।যথাযথ মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা আরো জানান, এমনিতেই করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষের দিন কাটছে অনেক কষ্টে। তার উপর দ্রব্যমূল্যের দাম অসহনীয় থাকায় যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।

মোরেলগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো.দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যই বর্তমানে বাড়তি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারনে পণ্য পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খাতেও ব্যয় বেড়েছে। তাই পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে।

Advisory Editor

Advisory Editor of http://www.krishisongbad.com/

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *