কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমেই স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব—সিকৃবি ভিসি

কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমেই

কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমেই
সিকৃবি প্রতনিধি:
কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমেই ঃ “কৃষিই কৃষ্টি, কৃষিই সমৃদ্ধি” শ্লোগানকে সামনে রেখে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) উদযাপন করা হলো কৃষি অনুষদের এক যুগ পূর্তি ও এগ্রিফেস্টিভ্যাল ২০২০। যুগপূর্তি উপলক্ষে নানা আয়োজনে মেতে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সকালে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালীর আয়োজন করা হয়। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার এর নেতৃত্বে র‌্যালীটি সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন শেষে কৃষি অনুষদের সামনে শেষ হয়। র‌্যালী শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, কৃষির উন্নয়নের ফলেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

কৃষির আধুনিকায়নের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে কৃষি উন্নয়নের বিকল্প নেই। আর বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে হলে কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বিকেলে কৃষি অনুষদের বিভিন্ন বর্ষের সর্বোচ্চ নম্বরধারী ১২ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এগ্রিফেস্টিভ্যাল উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল মুকিত এর সভাপতিত্বে এবং সদস্য-সচিব ড. মোজাম্মেল হকের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর মতিয়ার রহমান হাওলাদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রুহুল আমিন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক প্রফেসর ড. মিটু চৌধুরী এবং প্রক্টর ড. সোহেল মিঞা।

সব শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে এগ্রিফেস্টিভ্যালের সমাপণী ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য ২০০৮ সালের ১৯ এপ্রিল ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কৃষি অনুষদের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে উক্ত অনুষদ থেকে ৪৭৯ জন শিক্ষার্থী ¯œাতক, ১৮২ জন মাস্টার্স এবং ১ জন পিএইচডি ডিগ্রী সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে ¯œাতক পর্যায়ে ৪ শতাধিক, মাস্টার্সে দেড় শতাধিক এবং পিএইচডিতে ৯ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। এছাড়া ৯ জন বিদেশী শিক্ষার্থী কৃষি অনুষদে অধ্যয়ন করছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কৃষি অনুষদের শিক্ষক ও গবেষকরা বিভিন্ন ফসলের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তন্মধ্যে গ্রীষ্মকালীন সিম ও টমেটোর জাত উদ্ভাবন, সিলেট অঞ্চলের কৃষকদের সহায়তার জন্য কৃষি আবহাওয়া স্টেশন স্থাপন, হাওরের কৃষকদের জীবন মান উন্নয়ন কার্যক্রম, বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য আগাম জাতের ধানের চাষাবাদ প্রযুক্তি উদ্ভাবন উল্লেখযোগ্য ।

Advisory Editor

Advisory Editor of http://www.krishisongbad.com/

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *