সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে “বেটার ফিউচার বাংলাদেশে”র শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ

সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে

সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে

আব্দুল মান্নান,হাবিপ্রবিঃ

সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে

“বেটার ফিউচার বাংলাদেশের” (বিএফবি) এর আয়োজনে আজ দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মজার স্কুলের ক্ষুদের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা-সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে ।

রবিবার বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালরের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তন কেন্দ্রে এ শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয় ।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম ।আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকটর প্রফেসর ড. মো. খালেদ হোসেন,জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তারিকুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রাজীব হাসান,ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড.মো.মফিজুল ইসলাম ,সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. সাইফুদ্দিন দুরুদ সহ হাবিপ্রবি মজার স্কুলের সভাপতি সহিদুল ইসলাম ফাহিম,সাধারণ সম্পাদক রাগিব হাসান সিফাত এবং বেটার ফিউচার বাংলাদেশ দিনাজপুর শাখার অন্যান্য সদস্য বৃন্দ ।

সুমাইয়া আনান সুমা এর সঞ্চালনায় দিনাজপুর জেলা শাখার ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর শফিউল আজম অপু অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, এটি তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অরাজনৈতিক,অলাভজনক সামাজিক সংগঠন।  এটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত । তরুণরা যাতে পড়ালেখার পাশাপাশি সমাজের নিম্ন শ্রেণীর মানুষ কে নিয়ে চিন্তা করে এবং সমাজের প্রতি তাদের যে দায়বদ্ধতা সেটি নিয়ে কাজ করে এই উদ্দেশ্য নিয়ে তিন বছর আগে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।গত তিন বছর যাবত সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষ এবং পথশিশুদের নিয়ে “বেটার ফিউচার বাংলাদেশ” কাজ করে আসছে।
এরই মধ্যে আমরা পথশিশুদের কিভাবে শিক্ষার আওতায় আনা যায় তার জন্য কাজ করছি।এছাড়া গরিব বাচ্চাদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ,খেলাধুলায় উৎসাহিত করতে টুর্নামেন্টের আয়োজন  করে থাকি।জরুরী রক্তের প্রয়োজন হলে সংগঠন এর পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করে দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি।লক্ষ্য মোদের একটাই,কোটি হাসির ।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, এটি একটি মহতী উদ্যোগ ।দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যারা এসব কাজের সাথে জড়িত আছেন তাদেরকে আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি ।এ ধরনের যেকোন কাজে আমার সর্বাত্নক সহযগিতা থাকবে ।তোমরা জেনে খুশি হবে যে, কৃষকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আমরা একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি ,যাতে করে কৃষকদের ঘরে সরাসরি সেবা পৌছে দিতে পারি ।সকলের সহযোগিতা পেলে আশা করি,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসেবে  আমরা উপস্থাপন করতে পারব ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *