শেকৃবিতে বস্তি উচ্ছেদ করে গড়ে তোলা হয়েছে গবেষণার মাঠ

শেকৃবিতে বস্তি উচ্ছেদ

মো. বশিরুল ইসলাম,শেকৃবি থেকে

শেরেবাংলা কৃষি বিশেকৃবি গবেষণা মাঠশ্ববিদ্যালয়ে বস্তি উচ্ছেদ করে গড়ে তোলা হয়েছে গবেষণার নতুন মাঠ। ফলে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে গবেষণায় পর্যাপ্ত জায়গা। আজ মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো এই জমিতে রোপণ করা হয়েছে বেগুনের চারা। দুপুর ১ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর মো. শাদাত উল্লা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. হযরত আলী , কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোফাজ্জল হোসাইন, সাউরেসে পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ, প্রক্টর ড. মো.মিজানুর রহমানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন মো. ইবরাহীম খলিল খাঁন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ কামাল অনুষদ ভবনের পাশে দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদনহীন বস্তি গড়ে উঠেছিল। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা এখানে থাকতেন। গত বছর জুন থেকে বস্তি উচ্ছেদের অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এখান থেকে ৪৬টির মতো পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় গবেষণার জন্য জমি তৈরির কাজ।
উপাচার্য প্রফেসর মো. শাদাত উল্লা বলেন, ২০০১ সালে কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরুর পর বেশ কয়েকবার অবৈধ ঘর ও ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ অভিযানের চেষ্টা করা হয়। কোনোবারই সে অভিযান সফল হয়নি। সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই, এনএসআই ও স্থানীয় শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবৈধ ভাড়াটিয়া ও বস্তি উচ্ছেদের অভিযান চালায়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস, এস্টেট ও সিকিউরিটি অফিসের তত্ত্বাবধানে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক অবৈধ ঘর উচ্ছেদ ও ৫ শতাধিক ভাড়াটিয়াকে বিতাড়ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১২ একর গবেষণার জমি আছে, এ সাথে আরও ২ একর জমি যোগ হল। ফলে এখন আর শিক্ষার্থীদের গবেষনার জন্য জমির সংকট হবে না। শীঘ্রই এ জমি উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আরও প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *