হাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ পালিত

জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ পালিত

জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আজ ১৫ আগস্ট ২০১৮ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বুধবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস ২০১৮ পালিত হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে একাডেমিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ কালো ব্যাচ ধারণ করেন। এরপর এক বিশাল শোক র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি শেষে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহীআতœার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। ক্রমান্বয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখার নেতৃবৃন্দ, কর্মচারিগণ,হাবিপ্রবি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তারিকুল ইসলাম-এর সভাপতিত্বে দিবসটির তাৎপর্যের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক, হাবিপ্রবি’র ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফা তারেক চৌধুরী ও রাসেল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার সহকারী পরিচালক ড. মোহাম্মদ রাজিব হাসান।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশের বীর জনতা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। একটি মানচিত্র। একটি জাতীয় পতাকা। এটি বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁর সুযোগ্যা কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের পূর্বেই উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবো।

জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বাদ যোহর হাবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিকাল ৬ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শণ নিয়ে ডকুমেন্টরী ফিল্ম প্রদর্শণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *